শাখা | উপ-শাখা | প্রধান অঞ্চল | বিশ্বাস/অভ্যাস |
---|---|---|---|
সুন্নি ইসলাম (ইসলামের বৃহত্তম শাখা সুন্নি। এর অসংখ্য উপশাখা রয়েছে।) | হানাফী | দক্ষিণ এশিয়া | বেরেলভি বা বালাকোটি সুন্নিগণ শুরুতে ওহাবি মতবাদের অনুসারি হলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন ইসলামি ব্যক্তিত্বকে, যেমন মাওলানা সৈয়দ আহমদ বেরেলভি, মাওলানা কেরামত আলী জৌনপুরী প্রভৃতি মৌলবিকে আল্লাহর মতো আলিমুল গায়েব বা অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞানী বলে বিবেচনা করে এবং এদেরই আদেশ-নির্দেশের অন্ধ অনুকরণ করতে থাকে। এরা বিখ্যাত ‘দারুল হারব’ তত্ত্বের স্রষ্টা। দেওবন্দিগণ ও আহলে হাদিসগণ এদেরকে কাফের হিশেবে আখ্যায়িত করেছে। এমনকি এদের সাথে মেলামেশা করা কিংবা সৌহার্দ্র প্রকাশের বিরুদ্ধেও ফতোয়া জারি করেছে। |
মাওলানা কাসেম নানতুবি আরো কয়েকজনের সহযোগিতায় ভারতের উত্তর প্রদেশে দেওবন্দ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এই মাদ্রাসা থেকে যে ইসলামের জন্ম হয়, তা ‘দেওবন্দি ইসলাম’ নামে পরিচিত। আমাদের দেশের অধিকাংশ ক্বওমি মাদ্রাসা এদের নেতৃত্ব মেনে চলে। এদেশে জঙ্গিবাদ মূলত এদের হাত ধরেই সৃষ্টি হয়েছে। | |||
ইলিয়াসি তাবলিগ জামাত চিল্লার দ্বারা প্রচারকেই ইসলামের মূল লক্ষ্য বলে মনে করে। এরা ছয় উশুলে আস্থা রাখে এবং বলে যে, ভালো করে দোয়া-দরুদ পাঠ, নামাজ-রোজা পালন ও বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌছে দেয়াই মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় কাজ। | |||
মওদুদি জামাত রাষ্ট্রের শাসনক্ষমতা দখলকে ভাবে তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দায়িত্ব। আমাদের দেশের জামাতে ইসলামির কর্মকাণ্ড হচ্ছে মওদুদি জামাতের চিন্তাধারার স্পষ্ট প্রতিফলন। এরা নামাজ-রোজা-হজ্জ্ব-যাকাতকে সাধারন ট্রেনিং কোর্স মনে করে, যা মূলত ঈমানকে মজবুত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে সহায়ক হয়। অন্যান্য অনেক সুন্নি এদের পেছনে নামাজ আদায় করাকে মাকরুহে তাহরিমি বলে ঘোষণা দিয়েছে। | |||
শাফিঈ | ফিলিস্তিন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, জর্ডান ইত্যাদি। | এরা হানাফিদের থেকে ভিন্ন ভাবে নামাজ-রোজা পালন করে থাকে। শাফেয়ি ও হানাফি মাযহাবের রক্তাক্ত দ্বন্দ্বে ইসলামের ইতিহাস পরিপূর্ণ।এদের মতে, বিয়ের সময় অভিভাবককে অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে, নিজের মেয়েকেও হাত দিয়ে স্পর্শ করলে ওজু ভেঙ্গে যাবে, দাড়ি কেটে ফেলা জায়েজ ইত্যাদি। | |
মালিকি | উত্তর ও পশ্চিম আফ্রিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ইত্যাদি | এরাও অন্য সবার থেকে আলাদা হয়ে নিজেদের মতো করে ধর্ম-কর্ম পালন করে। এদের মতে, একজনের হজ্জ অন্যজন প্রক্সি দিতে পারবে না, দীর্ঘশ্বাস ফেললে নামাজ ভেঙ্গে যাবে, কাকের মাংস খাওয়া জায়েজ, মিসওয়াক করা জায়েজ নয়, শুক্রবারে রোজা রাখতে হবে ইত্যাদি। | |
হাম্বলি | সৌদি আরব, কাতার, কিছু সিরিয়া ও ইরাকে | অন্যদের মতো এদেরও নিজস্ব নিয়ম রয়েছে। এদের মতে, ওজু নিয়ে সামান্যতম সন্দেহ হলে বা মাংস খেলে ওজু ভেঙ্গে যাবে, সামান্যতম রক্ত বের হলেও রোজা ভেঙ্গে যাবে, নগদ টাকায় যাকাত দেয়া যাবে না, এজিদ ছিল ন্যায়ের পক্ষে ও ইমাম হোসাইন ছিল অন্যায়ের পক্ষ | |
ওহাবী বা সালাফী | সৌদি রাজপরিবার | এরা কোরান-হাদিস ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে ইসলামের প্রথম দিকের আলেমগণ তথা সাহাবি, তাবেঈ ও তাবে তাবেঈগণের অনুসরন করে। এরা সুফিবাদের সম্পূর্ণ বিরোধী। এরা আল্লাহকে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সহকারে সশরীরে অস্তিত্বশীল বলে মনে করে, যিনি আকাশের অনেক উপরে অবস্থান করছেন। মুহাম্মদের জন্মদিন পালন করা, তার বিষয়ে কোন স্মরণসভার আয়োজন করা কিংবা তার কবর জেয়ারত করাকে এরা শিরক ও হারাম মনে করে। মক্কা ও মদিনার সকল সাহাবার কবর ভেঙ্গেচুরে এরা সমতল করে দিয়েছে। অতিরিক্ত প্রতিটি ধর্মীয় কাজকেই এরা ভাবে বিদ’আত। তারা নবীগণকেও নিষ্পাপ বলে মনে করে না। | |
আহলে হাদিস | ভারতীয় উপমহাদেশের | এরা সুনির্দিষ্ট ভাবে কোন মাযহাব অনুসরন করে না। মাযহাব অনুসরন করাকে এরা শিরক বা অমার্জনীয় অপরাধ হিশেবে চিহ্নিত করে থাকে। অর্থাৎ, এদের চোখে হানাফি-মালেকি-শাফেয়ি-হাম্বলিগণ মুশরিক। এরা মনে করে, যারা নামাজ পড়ে না, তারা কাফির এবং তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে হবে। দেওবন্দি ও বেরেলভি আলেমগণ এদেরকে কাফের ঘোষণা করেছে। | |
জাহিরি | সুদান, মরক্কো ও পাকিস্তান | আগে অনেক মানুষ এর অনুসারী ছিল। এখন দিনে দিনে এটি দূর্বল হয়ে পড়ছে। এদের সাথে আহলে হাদিস মতাদর্শের অনেক মিল পরিলক্ষিত হয়। | |
শিয়া ইসলাম (ইসলামের দ্বিতীয় বৃহত্তম শাখা শিয়া। শিয়া-সুন্নির মারাত্নক সংঘাতই মধ্যপ্রাচ্যকে এখন বানিয়ে ফেলেছে নোংড়া বেহেশত। এতে করে কতো মানুষের প্রাণ যে ঝরে গেছে, কে জানে? শিয়াদের মধ্যেও রয়েছে অনেকগুলো উপশাখা। চিন্তাভাবনা ও কর্মপদ্ধতির দিক থেকে এই উপশাখাগুলোও পরস্পর থেকে আলাদা।) | ইশনা আশারিয়াহ | ইরাক, ইরান, আজারবাইজান, লেবানন ইত্যাদি। | এদের ধারনা, মুহম্মদের মৃত্যুর পর হযরত আলী হচ্ছেন মুসলমানদের বৈধ নেতা বা ইমাম। সাহাবাগণ হযরত আলীকে ইমাম না বানিয়ে আবু বকর-ওমর-উসমানকে খলিফা বানিয়েছে, যা আল্লাহর আদেশের সরাসরি লঙ্ঘন। তারা অধিকাংশ সাহাবিকে মুনাফিক মনে করে এবং খুতবায় নিয়মিত গালিগালাজ করে। তারা বিশ্বাস করে বারো ইমামতে, যা মুহম্মদ থেকে শুরু করে আলীর বংশধর ইমাম মাহদির মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। এই ইমামগণের মর্যাদা নবী-রাসুলদের চেয়ে বেশী। ইশনা আশারিয়াদের কিছু কর্মকাণ্ড অদ্ভূত। এরা মুতা বিবাহ বা পতিতাবৃত্তিকে জায়েজ মনে করে, তিনবারে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, হজ্জ্বের চেয়ে হযরত আলীর মাজার দর্শনকে অধিক পূণ্যের বলে বিবেচনা করে। এদের নিজস্ব হাদিস আছে। বোখারি, মুসলিম প্রমুখ হাদিসগ্রন্থে এরা আস্থা রাখে না। |
জায়দিয়াহ | ইয়েমেন | বহুল আলোচিত হুথিগণ এদের মধ্যে অন্যতম। শিয়াদের মধ্যে এরা সবচেয়ে প্রাচীন। আগে এদের রমরমা অবস্থা থাকলেও ১৯৬২ সালে ইমামত লোপের পরে তারা বেকায়দায় পড়েছে। অনেক শতাব্দী আগে ইমাম নির্বাচনের প্রশ্নে মতানৈক্য হওয়ায় অন্য একদল শিয়া আলাদা হয়ে ইশনা আশারিয়া সম্প্রদায়ের সৃষ্টি করে। এরা বিশ্বাস করে মুহাম্মদ আল বাকিরের ইমামতে, আর জাইদিয়া শিয়াগণ জাইদ ইবনে আলীর ইমামতে বিশ্বাস করতে শুরু করে। এরা ইমাম হোসাইন পর্যন্ত আধ্যাত্নিকতায় বিশ্বাস করে, তারপরের ইমামগণের স্বর্গীয় আধ্যাত্নিকতায় বিশ্বাস করে না। | |
ইসমাইলি | ভারত, চীন, মধ্য এশিয়া, ইউরোপ, ইত্যাদি | এরা বলে, ইসলামের সপ্তম ইমাম হচ্ছেন ইসমাঈল ইবনে জাফর। অন্যদিকে জাফরিয়া শিয়াগণ বলে, সপ্তম ইমাম মুসা ইবনে কাজিম। এত্থেকে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে শিয়াদের এই নতুন উপশাখা যাত্রা শুরু করে। এদের বিশ্বাস হলো, আধ্যাত্নিকতা নবী মুহাম্মদ হতে হয়রত আলী এবং তার থেকে বংশানুক্রমে প্রবাহিত হতে হতে বর্তমান পর্যন্ত চলে এসেছে। এই স্বর্গীয় আধ্যাত্নিকতা এখন অবস্থান করছে তাদের বর্তমান ইমাম প্রিন্স করিম আগা খানের শরীরে। আগা খান তাদের ৪৯তম ইমাম। কোন পাপ বা ভুল তাকে স্পর্শ করতে পারে না। প্রতিটি ইসমাঈলিয়াকে তাদের আয়ের বারো ভাগের এক ভাগ ইমাম আগা খানের ভাণ্ডারে প্রদান করতে হয়। অধঃস্তনদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থে ফুলে-ফেপে ওঠা এই সম্পদশালী ব্যক্তিকে প্রায়ই খবরে দেখা যায়। বর্তমানে ঈসমাইলিয়া শিয়াগণ নিজারি, হাফিজি, তাইয়াবি প্রভৃতি বিভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। | |
আলাভি | সিরিয়া, তুরস্ক, কিছু সিরিয়া ও তুরস্কে | এরা মূলত ইশনা আশারিয়া থেকে এসেছে। এরা মনে করে, আল্লাহ অনেকবার মানুষের রূপ ধরে পৃথিবীতে আগমন করেছেন। এমনকি মুহাম্মদ, হযরত আলী ও সালমান ফার্সি’র বেশ ধরেও তিনি পৃথিবীতে এসেছেন। অর্থাৎ মুহম্মদ, সালমান ফার্সি ও হযরত আলী ছিলেন মূলত আল্লাহ। তারা পূনর্জন্মে বিশ্বাস করে। | |
আহমদিয়া ইসলাম (ইসলামের তৃতীয় বৃহত্তম শাখা আহমদিয়া। অনেকের কাছে এরা কাদিয়ানি নামে পরিচিত। প্রথমদিকে তারা হানাফিদের একটি উপশাখা ছিল। পরবর্তীতে হানাফিদের চিন্তাধারা পরিত্যাগ করে এরা নতুন মতবাদ সৃষ্টি করে। আমাদের উপমহাদেশে অসংখ্য আহমদিয়া মুসলমান বসবাস করে। এরাও মোটামুটি দু’ভাগে বিভক্ত।) | আহমদিয়া আঞ্জুমান ইশাত ই ইসলাম | উপমহাদেশ | এদের মতে, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানি হচ্ছেন প্রতিশ্রুত মসিহ, ইমাম মাহদি ও যীশু খ্রিস্ট। তবে তিনি নবী নন। তারা মনে করে, যীশু খ্রিস্ট ক্রুশবিদ্ধ অবস্থা থেকে পালিয়ে এসে কাশ্মীরে বসবাস করতে শুরু করেন। তিনি এখানেই মারা যান। তার কবর কাশ্মীরের উয আসাফে। এখন তিনি বেহেশতে আছেন। নতুন যীশু যিনি এসেছেন, তিনি শেষ নবী মুহাম্মদের উম্মত। আর তিনি হচ্ছেন মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি। |
জামাতে আহমদিয়া | উপমহাদেশ | এরা মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানিকে একজন নবী বলে দাবী করে। মুহাম্মদকেও এরা নবী বলে মানে, তবে শেষ নবী হিশেবে স্বীকার করে না। এরা বলে, মুহাম্মদ হচ্ছে পূর্নাঙ্গ নবী। তারপরে অনেক নবী এসেছেন, যারা পূর্ণাঙ্গ নবী নন। গোলাম আহমদ কাদিয়ানি হচ্ছেন এমনি একজন নবী। | |
ইবাদি | ওমান, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, লিবিয়া ও পূর্ব আফ্রিকায় | ধারনা করা হয়, এরা বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া খারেজিদের একটি শাখা। ইবাদিগণ খলিফা আবু বকর ও খলিফা উমরকে সঠিক বলে মানে। তবে অনেকক্ষেত্রে খলিফা আলী ও খলিফা উসমানের বিরোধিতা করে। শিয়াদের মতো এদের নিজস্ব ধর্মীয় নেতা বা ইমাম রয়েছে। এই ইমাম গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত হন। এদের মতে, আল্লাহ কখনো দেখা দেবেন না, বিচার দিবসেও না। কোরানকে এরা সৃষ্টগ্রন্থ মনে করে, আল্লাহর কথা বলে মনে করে না। |
ইসলামের শাখা | প্রধান অঞ্চল | বিশ্বাস/অভ্যাস |
---|---|---|
সুফিবাদ | বাংলাদেশ | ধর্মীয় কর্মকাণ্ড একজন মুরিদ নেতাকে ঘিরেই আবর্তিত হয়। নামাজ, রোজা ইত্যাদির জন্য বিভিন্ন সুফি আদেশের অনন্য নিয়ম রয়েছে। উদাহরণের মধ্যে রয়েছে শাহজালাল, চরমোনাই, দেওয়ানবাগী, কুতুববাগী। |
আলেভিবাদ | তুরস্ক | যা পীর সুলতান আবদাল, হাজী বেকতাশ বেলি, ইউনুস এমরে, শাহ ইসমাইল, বারো ইমাম এবং অন্যান্য ঐতিহাসিক ও কিংবদন্তি ব্যক্তিদের মরমী ইসলামী শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়। সুন্নি ইসলাম এবং উসুলী ত্বালাশিয়া ইসলাম থেকে পৃথক, আলেভিদের কোনো বাধ্যতামূলক ধর্মীয় নীতি নেই এবং শিক্ষাগুলো সুফি পন্থের মতো একজন আধ্যাত্মিক নেতার দ্বারা প্রেরিত হয়। |
বেক্তাশি | আলবেনিয়া, বুলগেরিয়া, গ্রীস, কসোভো, উত্তর মেসিডোনিয়া, তুরস্ক, অন্যান্য আলবেনিয়ান প্রবাসী (ইতালি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) এবং তুর্কি প্রবাসী (জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম) | যা একটি ইসলামিক সুফি রহস্যবাদী আদেশ যা 13 শতকের অটোমান সাম্রাজ্যে উদ্ভূত হয়েছিল। সাধক হাজী বেকতাশ ভেলীর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে। বেকতাশিয়ান সম্প্রদায় বর্তমানে বাবা মন্ডির নেতৃত্বে রয়েছে, তাদের অষ্টম বেকতাশি দেদেবাবা এবং আলবেনিয়ার তিরানায় সদর দফতর। |
বোরহানিয়া | বাংলাদেশ | একজন আধ্যাত্মিক নেতার প্রতি ভক্তির মাধ্যমে আধ্যাত্মিক জ্ঞানার্জনে মনোনিবেশ করুন। |
মেভলেভি | তুরস্ক | যা একটি সুফি তরিকা। ১৩শ শতাব্দীর কবি, আইনবিদ, ধর্মতাত্ত্বিক, অতীন্দ্রিবাদী ও সুফি জালালউদ্দিন রুমির অনুসারীরা তার মৃত্যুর পর এই তরিকা প্রতিষ্ঠা করেন। ঈশ্বরের স্মরণ এবং আধ্যাত্মিক আনন্দের উপর জোর দিয়ে তাদের ঘূর্ণায়মান দরবেশ অনুষ্ঠানের জন্য পরিচিত। |
বালাভিয়া | বাংলাদেশ | অনুগামীরা আধ্যাত্মিক নেতার নির্দিষ্ট আচার এবং শিক্ষাগুলি মেনে চলে। |
চিশতিয়া | দক্ষিণ এশিয়া | প্রেম, সহনশীলতা এবং ঈশ্বরের প্রতি ভক্তির উপর জোর দেওয়া, সামা (সঙ্গীতের সমাবেশ) এবং জিকর (ঈশ্বরের স্মরণ) মত অনুশীলনের সাথে। |
রিফা’ই | মধ্যপ্রাচ্য | ঈশ্বরের সাথে আধ্যাত্মিক মিলন অর্জনের জন্য নাচ এবং জপ সহ তাদের আনন্দদায়ক আচারের জন্য পরিচিত। |
নক্সবন্দি | মধ্য এশিয়া, ভারত, পাকিস্তান | একজন প্রভুর নির্দেশনায় কঠোর ইসলামী আইন এবং আধ্যাত্মিক অনুশাসন মেনে চলার উপর জোর দেয়। |
নিয়ামতুল্লাহি | ইরান | ধ্যান এবং স্ব-শৃঙ্খলার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ শুদ্ধিকরণ এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞানের দিকে মনোনিবেশ করুন। |
কাদেরিয়া | মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া | আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনার গুরুত্ব এবং একজন আধ্যাত্মিক নেতার আনুগত্যের উপর জোর দেওয়া। |
Bostamiya | বাংলাদেশ | অনুসারীরা আধ্যাত্মিক নেতার নির্দেশনায় নির্দিষ্ট অনুশীলন এবং আচার-অনুষ্ঠানে নিযুক্ত হন। |
সাধিলিল্লা | বিভিন্ন | একজন আধ্যাত্মিক গাইডের প্রতি ভক্তির মাধ্যমে আধ্যাত্মিক জ্ঞানার্জনের উপর জোর দেয়। |
মাইজভান্দি | ইরান | অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে ধ্যান, প্রার্থনা এবং আধ্যাত্মিক গুরুর শিক্ষা মেনে চলা। |
মোজাদ্দেদিয়া | দক্ষিণ এশিয়া | একজন আধ্যাত্মিক নেতার শিক্ষা মেনে চলার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক জ্ঞানার্জনে মনোনিবেশ করুন। |
গলন্ধরিয়া | মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া | একজন আধ্যাত্মিক গুরুর নির্দেশনায় তপস্যা এবং আধ্যাত্মিক অনুশাসনের উপর জোর দেয়। |
সোহরাওয়ার্দিয়া | মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া | একজন সুফি ওস্তাদের আনুগত্যের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক শুদ্ধিকরণ এবং জ্ঞানার্জনের উপর জোর দেওয়া। |
ড্রুজ | লেবানন, সিরিয়া, ইসরাইল | অনন্য ধর্মীয় ও সামাজিক বিশ্বাস, ঈশ্বরের একত্বের উপর জোর দেওয়া এবং আধ্যাত্মিক শ্রেণিবিন্যাসের গুরুত্ব সহ। |
খারেজি | ঐতিহাসিক | একসময় বিদ্যমান ছিল কিন্তু এখন আর নেই, ধর্মীয় গ্রন্থের ব্যাখ্যায় ঐতিহ্যের চেয়ে যুক্তির গুরুত্বে বিশ্বাসী। |
মুর্জিয়া | ঐতিহাসিক | আগে বিদ্যমান ছিল কিন্তু এখন আর নেই, ধর্মীয় বিষয়ে যুক্তি ও বুদ্ধির কর্তৃত্বের উপর জোর দিয়েছে। |
ইহা পরিবর্তন করুন | ঐতিহাসিক | একসময় প্রারম্ভিক ইসলামিক ধর্মতত্ত্বে প্রভাবশালী, ধর্ম বোঝার ক্ষেত্রে যুক্তি ও স্বাধীন ইচ্ছার গুরুত্বের পক্ষে ছিলেন। |
মুশাবিয়্যাহ | ঐতিহাসিক | আগে অস্তিত্ব ছিল কিন্তু এখন আর নেই, ঈশ্বরের গুণাবলীর নৃতাত্ত্বিক ব্যাখ্যার উপর জোর দিয়েছে। |
জাহমিয়াহ | ঐতিহাসিক | আগে প্রভাবশালী ছিল কিন্তু এখন অদৃশ্য হয়ে গেলেন, ঈশ্বর এবং কুরআনের প্রকৃতি সম্পর্কে তাদের বিতর্কিত মতামতের জন্য পরিচিত। |
জাররিয়াহ | ঐতিহাসিক | আগে অস্তিত্ব ছিল কিন্তু এখন নেই, তাদের চরমপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি এবং জঙ্গি কর্মের জন্য পরিচিত। |
নাজ্জারিয়াহ | ঐতিহাসিক | একসময় অস্তিত্ব ছিল কিন্তু এখন আর নেই, ঈশ্বরের গুণাবলীর নৃতাত্ত্বিক ব্যাখ্যার জন্য পরিচিত। |
কালিয়া | ঐতিহাসিক | আগে অস্তিত্ব ছিল কিন্তু এখন আর নেই, কুরআনের সৃষ্টিতে তাদের বিশ্বাসের জন্য পরিচিত। |
এই সারণীটি বিভিন্ন শাখা, উপ-শাখা, প্রধান অঞ্চল এবং ইসলামের মূল বিশ্বাস/অভ্যাসগুলির একটি ওভারভিউ প্রদান করে, যার মধ্যে সুন্নি এবং শিয়া উভয় প্রধান শাখার পাশাপাশি অন্যান্য সম্প্রদায় এবং ঐতিহাসিক আন্দোলনগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।