Contents
কমিউনিকেশন
এক পক্ষ থেকে অন্য পক্ষে কোন মাধ্যম দ্বারা তথ্য প্রবাহের প্রক্রিয়া কে কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ বলে।
ডেটা
কম্পিউটার এ রক্ষিত কোন তথ্যের ইলেক্টিক্যাল রূপ কে ডেটা বলে।
ডেটা কমিউনিকেশন উপাদানসমূহ
ডেটা কমিউনিকেশন
ব্যান্ডউইডথ
একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোন একটি চ্যানেল দিয়ে যে পরিমান ডেটা স্থানান্তরিত হয় তাকে ব্যান্ডউইডথ বলে।
প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ Bit স্থানান্তরিত হয় তাকে BPS বলে। (Bit Per Second) প্রতি সেকেন্ডে 10 mb পরিমাণ bit স্থানান্তরিত হলে তাকে 10 mbps বলে।
Communication বা যোগাযোগের ক্ষেত্রে
1 Kilo bit = 1000 bit
1 Mega bit = 1000 kilo bit
Data Storage ক্ষেত্রে
1 Kilo byte = 1024 byte
1 Mega byte = 1024 kilo byte
ব্যান্ডউইডথ এর প্রকারভেদ
ন্যারোব্যান্ড
- 45-300 bps
- ব্যবহৃত হয় টেলিফোনেতে টেলিগ্রাফে
ভয়েসব্যান্ড
- 9600 bps
- টেলিফোন, printer, keyboard, ডেটা স্থানান্তর
ব্রডব্যান্ড
- 1 mbps বা তার বেশী
- 1. অপটিক্যাল ফাইবারে, 2. মাইক্রোওয়েভ, 3. স্যাটেলাইট
ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড
যে পদ্ধতিতে একটি ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ডেটা স্থানান্তর করা হয় তাকে ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড বলে।
সিরিয়াল ট্রান্সমিশন
যে ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে বিটগুলো একসাথে স্থানান্তরিত না হয়ে ধারাবাহিকভাবে স্থানান্তরিত হয় তাকে বলা হয় সিরিয়াল ট্রান্সমিশন।
সিনক্রোনাস
যে ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যবস্থায় প্রেরক স্টেশনের ডেটার ক্যারেক্টার সমূহকে ব্লক আকারে ভাগ করে প্রতিবার একটি করে ব্লক সমান বিরতি নিয়ে ট্রান্সমিট করা হয় তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে।
এসিনক্রোনাস
যে পদ্ধতিতে প্রেরক কম্পিউটার হতে প্রাপক কম্পিউটারের ডেটা ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয় এবং ট্রান্সমিটের মধ্যে সময়ের ব্যবধান সমান না হয় তাকে এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে।
সিনক্রোনাস
যে ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যবস্থায় প্রেরক স্টেশনের ডেটার ক্যারেক্টার সমূহকে ব্লক আকারে ভাগ করে প্রতিবার একটি করে ব্লক সমান বিরতি নিয়ে ট্রান্সমিট করা হয় তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে।
এসিনক্রোনাস
যে পদ্ধতিতে প্রেরক কম্পিউটার হতে প্রাপক কম্পিউটারের ডেটা ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয় এবং ট্রান্সমিটের মধ্যে সময়ের ব্যবধান সমান না হয় তাকে এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে।
সুবিধাসমূহ
- প্রেরক যে কোন সময় ডেটা স্থানান্তর করতে পারেন এবং গ্রাহক তা গ্রহণ করতে পারেন।
- ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য প্রেরকের কোন প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন হয় না।
- এটির ইন্সটলেশন ব্যয় অত্যন্ত কম।
- অল্প করে ডেটার ট্রান্সমিশন প্রয়োজন এমন পরিবেশে, যেমন ইন্টারনেটে এই পদ্ধতি বেশি উপযোগী।
অসুবিধাসমূহ
- যখন ডেটা স্থানান্তরের কাজ বন্ধ থাকে তখন ট্রান্সমিশন মাধ্যমটি অকারণে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে যা মাইক্রোওয়েভ বা স্যাটেলাইট মাধ্যমের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
- সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের তুলনায় এর দক্ষতা কম।
- ডেটা ট্রান্সমিশনে গতি অপেক্ষাকৃত মন্থর।
ব্যবহার
- কোন কম্পিউটার হতে প্রিন্টারে
- পাঞ্চ কার্ড রিডার হতে কম্পিউটারে
- কম্পিউটার হতে কার্ড পাঞ্চারে
- কী-বোর্ড হতে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরে
সিরিয়াল ট্রান্সমিশন
যে ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে বিটগুলো একসাথে স্থানান্তরিত না হয়ে ধারাবাহিকভাবে স্থানান্তরিত হয় তাকে বলা হয় সিরিয়াল ট্রান্সমিশন।
আইসোক্রোনাস আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন মেথড হলো সিনক্রোনাস ও অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন পদ্ধতির একটি সমন্বিত রূপ
এসিনক্রোনাস vs সিনক্রোনাস
এসিনক্রোনাস | সিনক্রোনাস |
---|---|
এ পদ্ধতিতে প্রেরক কম্পিউটার হতে ডেটা গ্রাহক কম্পিউটারে ক্যারেক্টার-ব্যই-ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয়। | এ পদ্ধতিতে প্রথমে প্রেরক স্টেশনের প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাই ডেটাকে সংরক্ষণ করা হয় এবং অতঃপর ডেটার ক্যারেক্টারসমূহকে ব্লক আকারে ভাগ করে প্রতিবারে একটি করে ব্লক ট্রান্সমিট করা হয়। |
এতে অতিরিক্ত বিট ব্যবহার করা হয় বলে এই ট্রান্সমিশনের দক্ষতা কম। | এর দক্ষতা অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের চেয়ে বেশি। |
এতে ডেটা ট্রান্সমিশনের গতি কম। | ডেটা ট্রান্সমিশনের গতি অনেক দ্রুত হয়। |
প্রেরকের কোন প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন হয় না। | প্রেরক স্টেশনে প্রেরকের সাথে একটি প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন হয়। |
ইন্সটলেশন খরচ অত্যন্ত কম। | এটি তুলনামূলক ব্যয়বহুল। |
এ পদ্ধতিতে ট্রান্সমিট সময় বেশি লাগে। | এ পদ্ধতিতে ট্রান্সমিট সময় কম লাগে। |
ডেটা ট্রান্সমিশন মোড
উৎস থেকে গন্তব্যে ডেটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহের দিককে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড বলা হয়।
সিমপ্লেক্স
সিমপ্লেক্স ডেটা ট্রান্সিমিশন মোডে কেবলমাত্র একদিকে ডেটা প্রেরণের ব্যবস্থা থাকে।
ব্যবহার: রেডিও, টিভি, PABX সিস্টেম।
হাফ ডুপ্লেক্স
হাফ ডুপ্লেক্স ডেটা ট্রান্সমিশন মোডে উভয় দিক থেকে ডেটা প্রেরণের সুযোগ থাকে তবে তা একই সময়ে যুগপৎ সম্ভব নয়।
ফুল ডুপ্লেক্স
ফুল ডুপ্লেক্স ডেটা ট্রান্সমিশন মোডে একই সময়ে উভয় দিক হতে ডেটা প্রেরণের ব্যবস্থা থাকে।
ডেটা ট্রান্সমিশন মোড
প্রাপকের সংখ্যা ও ডেটা গ্রহণের অধিকারের উপর ভিত্তি করে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ৩ প্রকারঃ
ইউনিকাস্ট
ইউনিকাস্টে একটি প্রেরক ও একটি প্রাপক হয়।
ব্রডকাস্ট
ব্রডকাস্ট মোডে নেটওয়ার্কের কোনো একটি নোড (কম্পিউটার, প্রিন্টার বা অন্যকোনো যন্ত্রপাতি) থেকে ডেটা প্রেরণ করলে তা নেটওয়ার্কের অবিন্যস্ত সকল নোডই গ্রহণ করে।
মাল্টিকাস্ট
মাল্টিকাস্ট মোডে নেটওয়ার্কের কোনো একটি নোড থেকে ডেটা প্রেরণ করলে তা নেটওয়ার্কের অধীনস্ত সকল নোডই গ্রহণ করতে পারে না। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি কোডের সকল সদস্য গ্রহণ করতে পারে।
ডেটা কমিউনিকেশনের মাধ্যম
তার মাধ্যম
- কো এক্সিয়াল ক্যাবল
- টুইস্টেড ক্যাবল
- অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল
তারবিহীন মাধ্যম
- রেডিও তরঙ্গ
- মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ
- ইনফ্রারেড
- ব্লু-টুথ
- ওয়াই-ফাই
- ওয়াই-ম্যাক্স
তার মাধ্যম
কো এক্সিয়াল ক্যাবল
টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল
- ৪ জোড়া তার
UTP – (Unshielded Twisted Pair)
USTP – (Shielded Twisted Pair)
কো এক্সিয়াল ক্যাবলের কানেক্টর BNC,RF
টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলের কানেক্টর RJ45, RJII
ফাইবার অপটিক ক্যাবল
- আলোর গতিতে তথ্য স্থানান্তর করা হয় [3×108m/s]
- এটি হলো অত্যন্ত ছোট কাঁচ তন্তু
- চৌম্বকপ্রভাব মুক্ত ক্যাবল [সিলেট বোর্ড]
- নন ম্যাটালিক ক্যাবল
- মাল্টি কম্পোট্যান্ট কাঁচ দিয়ে তৈরি [বরিশাল বোর্ড]
ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল কীভাবে ডাটা পরিবহন করে?
Wireless Communication Medium
কোনো প্রকার তার ছাড়া যদি তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গের মাধ্যমে ডেটা আদান প্রদানকেই Wireless Communication Medium বলে কম্পাঙ্কের উপর ভিত্তি করে এই মাধ্যমকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়।
রেডিও ওয়েভ
- 3 khz – 300 GHz এর মধ্যে যদি ডেটা আদান প্রদান করা হয় তাকে রেডিও ওয়েভ বলে।
কাজ:
- বেতার তরঙ্গ
- মোবাইল যোগাযোগ
- কম্পিউটার যোগাযোগ
- কৃত্রিম উপযোগে যোগাযোগ
- যেকোনো বাঁধায় (পাহাড়/পর্বত) থেমে যায় না। অতিক্রম করতে পারে।
মাইক্রোওয়েভ
- 300 MHz থেকে 300 GHz যদি ডেটা আদান প্রদান করা হয়
কাজ:
- দূরপাল্লা যোগাযোগ
- স্যাটেলাইট
মাইক্রোওয়েভকে ভাগ করা যায় দুই ভাগে
- টেরিস্টোরিয়াল মাইক্রোওয়েভ [কম দূরত্বে কারণ বাঁধা অতিক্রম করতে পারে না]
- স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ
ইনফ্রারেড
- 300 GHz – 430 THz
- কাছাকাছি দূরত্বের ক্ষেত্রে
- এই মাধ্যমে দুই প্রান্তে থাকে ট্রান্সমিটার ও রিসিভার
- দেয়াল অতিক্রমে ব্যর্থ
কাজ:
- সকল রিমোট কন্ট্রোলের জিনিসে
তারমাধ্যম | তারবিহীন মাধ্যম |
---|---|
উচ্চগতি সম্পন্ন | তুলনামূলক গতি কম |
ব্যান্ডউইথ উচ্চ | ব্যান্ডউইথ নিম্ন |
খরচ কম | খরচ বেশী |
কপার ফার, ফাইবার অপটিক ক্যাবল ইত্যাদি দিয়ে ডেটা ট্রান্সমিট হয়। | ইলেট্রমেগনেটিক ওয়েড, ম্যাগনেটিক ওয়েড, ইনফ্রারেড দিয়ে ডেটা স্থানান্তর করা হয়। |
LAN ও MAN এ ব্যবহৃত | WLAN, Bluetooth ইত্যাদি |
Data loss প্রায় শূণ্য | Data loss এর সুযোগ থাকে |
Service quality always best | Always not good |
Hotspot
হটসপট হলো একধরণের ওয়ারলেস ইন্টারনেট এক্সেস পয়েন্ট যা বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়।
Bluetooth
- স্বল্প দূরত্বে বিনা খরচে ডেটা আদানপ্রদানের জন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তাকে Bluetooth বলে।
- 10 মিটার এর মধ্যে
- Bluetooth WPAN (Wireless Personal Area Network) তৈরিতে সাহায্য করে
- ব্লুটুথের প্রযুক্তিগত নাম হচ্ছে IEEE 802.15
- Bluetooth প্রযুক্তির মাধ্যমে যে নেটওয়ার্ক তৈরি হয় তাকে পিকোনেট বলে। [মোট ২৫৫ টি স্লেভনোট থাকে, ৪ টি কার্যকর বাকিগুলো নিষ্ক্রিয়।]
- ব্লুটুথের ব্যক্তিগত ব্যান্ডউইথ 1 mbps.
- IEEE = Institute of Electrical & Electronic Engineering
সুবিধা/বৈশিষ্ট্য
- কাছাকাছি দুটি ডিভাইসের মধ্যে ডেটা স্থানান্তরে ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়।
- ২.৪ গিগাহার্টস ফ্রিকোয়েন্সিতে সিগন্যাল আদান-প্রদান করে। এর ব্যান্ডউইথ ১ Mbps.
- ১০-১০০ মিটারের মধ্যে তারবিহীন ডিভাইসের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে এবং ডেটা ট্রান্সমিশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না।
- ব্লুটুথ হলো মাস্টার-স্লেভ কাঠামোসহ একটি প্যাকেট-ভিত্তিক প্রটোকল।
- মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, প্রিন্টার, ডিজিটাল ক্যামেরা এবং ভিডিও গেম কনসোলগুলোকে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করতে এবং তথ্য বিনিময় করতে ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়।
- একটি পিকোনেটে মোট ২৫৫টি স্লেভ নোডগুলো নিষ্ক্রিয় থাকে। নোড থাকে, তবে আটটি স্লেভের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং অবশিষ্ট।
- ব্লুটুথ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনফিগার করতে পারে।
অসুবিধা
- ১০০ মিটারের বেশি দূরত্বে যোগাযোগ করা যায় না।
- ডেটা ট্রান্সফার রেট তুলনামূলকভাবে কম।
- মোবাইল ফোনের ব্লটুথ অপশনটি অন করা থাকলে ব্যাটারির চার্জ খরচ হতে থাকে।
- ব্লুটুথ ইন্টারনেট গতি অনেক কম।
- ব্লটুথ-এর মাধ্যমে ডেটা ট্রান্সফারে সিকিউরিটি কম।
Wifi
- Wireless Fidelity
- WPAN(Wireless Personal Area Network) তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
- প্রযুক্তিগত নাম হচ্ছে IEEE 802.11
- যতোটুকু পর্যন্ত ওয়াইফাই কার্যকর তাকে ওয়াইফাই জোন বলে।
বৈশিষ্ট্য/সুবিধা
- ওয়াই-ফাই এর কভারেজ সীমিত পরিসর থেকে নিয়ে বিস্তৃত পরিসরেও পাওয়া সম্ভব।
- এর ব্যান্ডউইথ 10 Mbps-50Mbps.
- ওয়াই-ফাই LAN-এর চেয়ে সস্তা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিনামূল্যে সেবা দিয়ে থাকে।
- যে কোনো মানের Wi-Fi বিশ্বের যে কোনো জায়গায় কাজ করবে।
- Wi-Fi LAN এর সাথে সংযুক্ত হবার কম্পিউটারকে একটি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কন্ট্রোলার সংবলিত হতে হয়।
- রাউটারের সাথে একটি ডিজিটাল সাবস্ক্রাইবার লাইন মডেম এবং একটি ওয়াই-ফাই এর আওতার মধ্যে থাকা সকল ডিভাইসগুলোতে ইন্টারনেট অ্যাকসেস সুবিধা পায়।
- Wi-Fi এবং WiBro (Wireless Broadband) একটি পোর্টেবল ওয়াই-ফাই রাউটার-এর মাধ্যমে খুব সহজেই নিজস্ব ওয়াই-ফাই হটস্পট তৈরি করে যেটি সেলুলার নেটওয়ার্কের অ্যাকসেস পয়েন্টকে যুক্ত করায় এরমাধ্যমে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়।
অসুবিধা
- ডেটা স্থানান্তর বেশ ধীরগতিসম্পন্ন।
- নির্দিষ্ট এলাকা ছাড়া কভারেজ পাওয়া কঠিন।
- নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকে।
Wimax
- Wireless Interoperability for Microwave access
- প্রযুক্তিগত নাম IEEE 802.16
- 30-75 Mbps
- এটিকে ফাইবার অপটিক্যালের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায়।
সুবিধা
- একক একটি বেজ স্টেশনের মাধ্যমে হাজার হাজার ব্যবহারকারীকে ইন্টারনেট সেবা দেয়া।
- তারবিহীন উপায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট অ্যাকসেস করা যায়।
- এই নেটওয়ার্ক বাস্তবায়ন অনেক দ্রুতসময়ে করা সম্ভব।
- প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সেবা পাওয়া যায়।
- ওয়াইম্যাক্সের মাধ্যমে ওয়াই-ফাই হটস্পটে ইন্টারনেট সেবা দেয়া যায়।
- তথ্য ও টেলিযোগাযোগ সেবাগুলো (VOIP, IPTV) প্রদান করা যায়।
- নিরাপদ ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা প্রদান করা যায়।
- বহনযোগ্য সংযোগ প্রদান করা যায়।
- অন্যান্য নেটওয়ার্কের তুলনায় খরচ কম।
অসুবিধা
- ওয়ারের অধীনে অনেক ব্যবহারকারী একই সময়ে ইন্টারনেট অ্যাকসেসের চেষ্টা করলে মারাত্মক ট্রাফিকের সমস্যাদেখা দেয় এবং ব্যান্ডউইথ কমে যায়
- অধিক দূরত্বে সংযোগের জন্য লাইন-অফ-সাইট এর প্রয়োজন হয়।
- খারাপ আবহাওয়া যেমন ঝড় বৃষ্টির কারণে এর সিগন্যালে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
- অন্যান্য ওয়্যারলেস যন্ত্রপাতিতে বাধার সৃষ্টি।
- বেশি বিদ্যুৎশক্তির প্রয়োজন হয়।
- বাস্তবায়ন ও পরিচালনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
সেল সিগন্যাল এনকোডিং (Cell Signal Encoding)
মোবাইলে বিভিন্ন ট্রান্সমিটার থেকে প্রেরিত সিগন্যালগুলোকে এনকোডিং করার জন্য যে এনকোডিং পদ্ধতি ব্যবহৃত হয় তাকে সেল সিগন্যাল এনকোডিং বলে। সেল এনকোডিং এর জন্য FDMA, GSM, CDMA প্রভৃতি প্রযুক্তির উন্নয়ন করা হয়েছে। FDMA হলো ফ্রকোয়েন্সি ডিভিশন মাল্টিপল একসেস সেল এনকোডিং সিস্টেম যা ১ম প্রজন্মের মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা হতো। এতে প্রত্যেক সেলে ব্যবহৃত ট্রান্সমিটিং ও রিসিভিং ফ্রিকোয়েন্সি, প্রতিবেশী সেলে ব্যবহৃত ফ্রিকোয়েন্সি থেকে আলাদা হয়ে থাকে।
FDMA – frequency division multiple access
TDMA – time division multiple access
CDMA – Code-Division Multiple Access
Roaming
Coverage area এর বাইরে গিয়েও অনবরত ডেটা ব্যাবহার করা কে রোমিং বলে।
GSM
- Global System for Mobile Communication
- GSM ব্যাবহৃত হয় মোবাইল সিম ব্যাবহার এর ক্ষেত্রে
- এর ধারণা টি আসে 2G থেকে।
Computer Networking
পরস্পর ডেটা আদানপ্রদানের লক্ষ্যে একাধিক কম্পিউটার কোনো যোগাযোগ মাধ্যম দ্বারা একসঙ্গে যুক্ত করা হলে তাকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলে।
কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং
Example
উদ্দেশ্য
- তথ্য বিনিময়
- হার্ডওয়্যার রিসোর্স শেয়ার
- সফটওয়্যার রিসোর্স শেয়ার
সুবিধা
- অফিস অটোমেশন
নেটওয়ার্কিং এর ডিভাইসগুলো
নেটওয়ার্কিং এর মৌলিক উপাদান
Hub
- বোকা ডিভাইস
- LAN এর সেগমেন্ট কানেক্ট করতে হাব ব্যাবহৃত
- Star টপোলজি এর ক্ষেত্রে হাব একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকারী ডিভাইস
Switch
- বুদ্ধিমান ডিভাইস
- এর মাধ্যমে প্রেরক থেকে প্রাপকে তথ্য সরাসরি পাঠানো সম্ভব।
Router
- এর প্রধান কাজ ডেটা সাপ্লাই করা
- প্রটোকল ছাড়া যুক্ত হতে পারেনা
গেটওয়ে
- একটি নেটওয়ার্ক কে আরেকটি নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত করে
রিপিটার
- রিপিটারের কাজ হচ্ছে সিগনাল কে পুনর্বর্ধিত করে আগের শক্তি ফিরিয়ে দেয়া।
ব্রিজ
- একাধিক LAN কে সংযোগ করে।
নেটওয়ার্ক টপোলজি
একটি নেটওয়ার্কের ফিজিকাল ডিভাইস বা কম্পোনেন্ট যেমন: পিসি, কেবল, রাউটার, ল্যাপটপ ইত্যাদি যেভাবে নেটওয়ার্কে পরস্পর সংযুক্ত থাকে তাকে টপোলজি বলে।
Bus Topology
- যেকোনো একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নষ্ট হয়ে গেলে Bus Topology তে কোনো সমস্যা হবে না।
- নতুন কোনো ডিভাইস বা কম্পিউটার সংযুক্ত করলে কোনো অসুবিধা হবেনা এতে ব্যাবহার করা হয়- স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি, কম্পিউটার ল্যাব, ইত্যাদি।
Ring Topology
- মেইন লাইন এর প্রয়োজন নেই।
- প্রতিটি লাইনের দূরত্ব সমান।
- একটি কম্পিউটার নষ্ট হলে বাকি কম্পিউটার এর কাজ করতে পারে না পুরো সিস্টেম অচল হয়ে পরে।
- নতুন একটি ডিভাইস সংযুক্ত করলেও সিস্টেম কিছু সময়ের জন্য অচল হয়ে যায়।
Star Topology
- যে টপোলজি তে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটারের সাথে অন্যান্য কম্পিউটার সংযুক্ত হয়ে টপোলজি গঠন করে তাকে স্টার টপোলজি বলে।
- এখানে সবগুলো কম্পিউটার হাবের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে।
- একটি কম্পিউটার নষ্ট হলে বা নতুন কোনো একটি যুক্ত করলে টপোলজি তে কোনো সমস্যা হয় না।
- কিন্তু মেইন কম্পিউটার বা হাব নষ্ট হলেই পুরো সিস্টেম অচল হয়ে পড়বে।
Tree Topology
- যে টপোলজি তে কম্পিউটারগুলো একে অপরের সাথে গাছের শাখা প্রশাখার মত যুক্ত থাকে তাকে ট্রি টপোলজি বলে।
Mesh Topology
- এই টপোলজি তে প্রতিটি কম্পিউটার একটি অপরটির সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে।
- এতে করে মেশ টপোলজি “সর্বোচ্চ গতি” পাওয়া যায়।
Hybrid Topology
- কয়েকটি টপোলজি একসাথে হয়ে যে টপোলজি হয় তাকে হাইব্রিড টপোলজি বলে।
Exercise
ক্লাউড কম্পিউটিং
কমপিউটার ও ডেটা স্টোরেজ সহজে ক্রেতার সুবিধা মত চাহিদা মত ভাড়া দেয়ার সিস্টেমকে ক্লাউড কম্পিউটিং বলে।
বৈশিষ্ট্য
- রিসোর্স স্কেলেবিলিটি (যত চাবো তত পাবো)
- অন ডিমান্ড সেবা (যখন চাবো তখন পাবো)
- Pay as you go (যতটুকু ব্যাবহার ততটুকু টাকা)
ক্লাউড কি সেবা দিচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে ক্লাউড কম্পিউটার তিন প্রকারঃ
কাজ
- খরচ কমে।
- যত স্টোরেজ চাওয়া হয় তাই পাওয়া যায়।
- সহজ প্রাপ্যতা রয়েছে।
- নিজে নিজেই আপডেট হয়।
- খুব সহজেই পরিবর্তন করা যায়।
অসুবিধা
- সম্পূর্ণ নিজের নয় বলে নিরাপত্তা সমস্যা।
- সার্ভার ডাউন সমস্যা।
- ইন্টারনেট নির্ভর হতে হয়।
- ধীর গতি।