আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার বিজয়ের তাৎপর্য তুলে ধরে শনিবার এক শক্তিশালী বার্তা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে কাদের বলেন, শেখ হাসিনার সাফল্যের সঙ্গে বাংলাদেশের ভাগ্য জড়িত।
জাতির দুর্বলদের রক্ষা করা
কাদের দৃঢ়ভাবে বলেন, দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণ রক্ষায় শেখ হাসিনার বিজয় অপরিহার্য। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই এমন অনুভূতির প্রতিধ্বনি করে তিনি প্রশ্ন তোলেন: বাংলাদেশের জন্য এর চেয়ে দক্ষ প্রধানমন্ত্রী কে হতে পারে?
বিরোধীদের বিরুদ্ধে একটি অটুট অবস্থান
দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে, কাদের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবির বিরোধিতা করেন। তিনি বিএনপিকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও সহিংসতার সাথে জড়িত একটি দল হিসেবে চিহ্নিত করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে তারা আবার ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের অর্জিত অগ্রগতি নষ্ট করতে পারে।
একটি মারাত্মক সতর্কতা
কাদেরের ভাষণে বিএনপির বিজয়ের পরিণতি সম্পর্কে একটি ভয়ানক সতর্কবার্তা অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি আশংকা প্রকাশ করেন যে, বিএনপির ঊর্ধ্বগতি জাতির মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটাতে পারে, যা বাংলাদেশকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো একটি দৃশ্যে পরিণত করতে পারে।
শক্তিশালী ভয়েস ইকো সাপোর্ট
ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টু, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের কথাগুলো কাদেরের ব্যক্ত অনুভূতির সাথে অনুরণিত হয়েছে, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গঠনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের গুরুত্বকে আরও শক্তিশালী করেছে।
জাতি যখন একটি সংকটময় সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়েছে, তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বার্তাটি একটি অনুস্মারক হিসেবে কাজ করে যে আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের গতিপথের জন্য সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে। জনগণের পছন্দই নির্ধারণ করবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ তার অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার পথে অগ্রসর হবে নাকি কাদেরের নির্দেশিত অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হবে।