Contents
লেখক-পরিচিতিঃ
বিষয় | বিবরণ |
---|---|
লেখকের নাম | আবুল ফজল |
জন্ম তারিখ | ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দের পহেলা জুলাই |
জন্মস্থান | চট্টগ্রাম, সাতকানিয়া, বাংলাদেশ |
পিতার নাম | ফজলুর রহমান |
শিক্ষাগত লেখা | চট্টগ্রাম ও ঢাকায় শিক্ষাজীবন অতিবাহিত |
পেশা | স্কুল শিক্ষক, কলেজ অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা |
চট্টগ্রাম বিশেষ | উপাচার্য ও রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন |
কর্মজীবনের সময় | প্রায় ত্রিশ বছর কলেজে অধ্যাপনা করেছেন |
ছাত্রজীবন | যুক্ত হন বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনে, মুসলিম সাহিত্য সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন |
সাহিত্যিক প্রবন্ধের বিষয় | সাহিত্য, সংস্কৃতি, সমাজ, রাষ্ট্র |
গ্রন্থ | – উপন্যাস: চৌচির, রাঙা প্রভাত; – গল্পগ্রন্থ: ‘মাটির পৃথিবী, ‘মৃতের আত্মহত্যা’; – প্রবন্ধ সাহিত্য সংস্কৃতি সাধনা, ‘সাহিত্য সংস্কৃতি ও জীবন, ‘সমাজ সাহিত্য ও রাষ্ট্র ‘মানবতন্ত্র, ‘একুশ মানে মাথা নত না করা; – দিনলিপি: ‘রেখাচিত্র, ‘দুর্দিনের দিনলিপি’। |
পুরস্কার | বাংলা একাডেমি পুরস্কার সহ অন্যান্য বিভিন্ন পুরস্কার |
মৃত্যু তারিখ | ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের ৪ মে, চট্টগ্রাম |
পাঠ-পরিচিতিঃ
আবুল ফজলের “মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধটি ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে রচিত। এটি প্রথম মানবতন্ত্র’ গ্রন্থে সংকলিত হয়। এই রচনায় লেখক মানব-কল্যাণ ধারণাটির তাৎপর্য বিচারে সচেষ্ট হয়েছেন। সাধারণভাবে অনেকে দস্থ মানুষকে করুণাবশত দান-খয়রাত করাকে মানব কল্যাণ মনে করেন। কিন্তু লেখকের মতে, এমন ধারণা খুবই সংকীর্ণ মনোভাবের পরিচায়ক। তাঁর মতে, মানব-কল্যাণ হলো মানুষের সার্বিক মঙ্গলের প্রয়াস। এ কল্যাণের লক্ষ্য সকল অবমাননাকর অবস্থা থেকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় মানুষের উত্তরণ ঘটানো। লেখকের বিশ্বাস, মুক্তবুদ্ধির সহায়তায় পরিকল্পনামাফিক পথেই কল্যাণময় পৃথিবী রচনা করা সম্ভব।
বিষয় | বিবরণ |
---|---|
লেখক | আবুল ফজল |
প্রবন্ধের শিরোনাম | “মানব-কল্যাণ” |
রচনার সাল | ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দ |
সংগ্রহণযোগ্য গ্রন্থ | “প্রথম মানবতন্ত্র” |
মানব-কল্যাণ ধারণা | মানুষের সার্বিক মঙ্গলের প্রয়াস, অবমাননাকর অবস্থা থেকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় মানুষের উত্তরণ ঘটানো |
লেখকের মন্তব্য | মানব-কল্যাণ হলো মানুষের উত্তরণের প্রয়াস, এবং মুক্তবুদ্ধির সাহায্যে কল্যাণময় পৃথিবী সৃষ্টি করা সম্ভব। |
শব্দার্থ ও টীকাঃ
শব্দ | শব্দার্থ ও টীকা |
---|---|
অনুগৃহীত | অনুগ্রহ বা আনুকূল্য পেয়েছে এমন। উপকৃত। |
মনীষা | বুদ্ধি। মনন। প্রতিভা। মেধা। প্রজ্ঞা। |
র্যাশনাল | বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন। বিচক্ষণ। যুক্তিসম্মত। Rational! |
মুক্তবুদ্ধি | সংকীর্ণতা ও গোঁড়ামিমুক্ত উদার মানসিকতা। |
মূল গল্পঃ
মানব-কল্যাণ- এ শিরোনাম আমার দেওয়া নয়। আমাদের প্রচলিত ধারণা আর চলতি কথায় মানব- কল্যাণ কথাটা অনেকখানি সস্তা আর মামুলি অর্থেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। একমুষ্টি ভিক্ষা দেওয়াকেও আমরা মানব-কল্যাণ মনে করে থাকি। মনুষ্যত্ববোধ আর মানব-মর্যাদাকে এতে যে ক্ষুন্ন করা হয় তা সাধারণত উপলব্ধি করা হয় না।
ইসলামের নবি বলেছেন, ওপরের হাত সব সময় নিচের হাত থেকে শ্রেষ্ঠ। নিচের হাত মানে যে মানুষ হাত পেতে গ্রহণ করে, ওপরের হাত মানে দাতা- যে হাত তুলে ওপর থেকে অনুগ্রহ বর্ষণ করে। দান বা ভিক্ষা গ্রহণকারীর দীনতা তার সর্ব অবয়বে কীভাবে প্রতিফলিত হয় তার বীভৎস দৃশ্য কার না নজরে পড়েছে?
মনুষ্যত্ব আর মানব-মর্যাদার দিক থেকে অনুগ্রহকারী আর অনুগৃহীতের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত। এ কথা ব্যক্তির বেলায় যেমন সত্য, তেমনি দেশ আর রাষ্ট্রের বেলায় বরং অধিকতর সত্য। কারণ, রাষ্ট্র জাতির যৌথ জীবন আর যৌথ চেতনারই প্রতীক। রাষ্ট্রের দায়িত্ব শুধু প্রশাসন চালানোই নয়, জাতিকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন করে তোলাও রাষ্ট্রের এক বৃহত্তর দায়িত্ব।
যে রাষ্ট্র হাতপাতা আর চাটুকারিতাকে দেয় প্রশ্রয়, সে রাষ্ট্র কিছুতেই আত্মমর্যাদাসম্পন্ন নাগরিক সৃষ্টি করতে পারে না। তাই মানব-কল্যাণ অর্থে আমি দয়া বা করুণার বশবর্তী হয়ে দান-খয়রাতকে মনে করি না। মনুষ্যত্বের অবমাননা যে ক্রিয়াকর্মের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি তাকে কিছুতেই মানব-কল্যাণ নামে অভিহিত করা যায় না।
মানব-কল্যাণের উৎস মানুষের মর্যাদাবোধ বৃদ্ধি আর মানবিক চেতনা বিকাশের মধ্যেই নিহিত। একদিন এক ব্যক্তি ইসলামের নবির কাছে ভিক্ষা চাইতে এসেছিল। নবি তাকে একখানা কুড়াল কিনে দিয়ে বলেছিলেন, এটি দিয়ে তুমি বন থেকে কাঠ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা রোজগার করো গে। এভাবে তিনি লোকটিতে শুধু স্বাবলম্বনের পথ দেখাননি, সে সঙ্গে দেখিয়ে দিয়েছিলেন মর্যাদাবান হওয়ার, মর্যাদার সাথে জীবনযাপনের উপায়ও।
মানুষকে মানুষ হিসেবে এবং মানবিক-বৃত্তির বিকাশের পথেই বেড়ে উঠতে হবে আর তার যথাযথ ক্ষেত্র রচনাই মানব-কল্যাণের প্রাথমিক সোপান। সে সোপান রচনাই সমাজ আর রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সমাজের ক্ষুদ্রতম অঙ্গ বা ইউনিট পরিবার- সে পরিবারকেও পালন করতে হয় এ দায়িত্ব। কারণ, মানুষের ভবিষ্যৎ জীবনের সূচনা সেখান থেকেই। ধীরে ধীরে ব্যাপকতর পরিধিতে যখন মানুষের বিচরণ হয় শুরু, তখন সে পরিধিতে যে সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার সংযোগ ঘটে- তা শিক্ষা কিংবা জীবিকা সংক্রান্ত যা হোক না তখন সে দায়িত্ব ঐসব প্রতিষ্ঠানের ওপরও বর্তায়। তবে তা অনেকখানি নির্ভর করে অনুকূল পরিবেশ ও ক্ষেত্র গড়ে তোলার ওপর। মানব-কল্যাণ স্বয়ম্ভু, বিচ্ছিন্ন, সম্পর্ক-রহিত হতে পারে না। প্রতিটি মানুষ যেমন সমাজের সঙ্গে সম্পর্কিত, তেমনি তার কল্যাণও সামগ্রিকভাবে সমাজের ভালো-মন্দের সঙ্গে সংযুক্ত।
উপলব্ধি ছাড়া মানব-কল্যাণ স্রেফ দান-খয়রাত আর কাঙালি ভোজনের মতো মানব-মর্যাদার অবমাননাকর এক পদ্ধতি না হয়ে যায় না, যা আমাদের দেশ আর সমাজে হয়েছে। এসবকে বাহবা দেওয়ার এবং এসব করে বাহবা কুড়োবার লোকেরও অভাব নেই দেশে।। আসল কথা, মানুষের মনুষ্যত্বকে বাদ দিয়ে স্রেফ তার জৈব অস্তিত্বের প্রতি সহানুভূতিশীল এ ধরনের মানব-কল্যাণ কিছুমাত্র ফলপ্রসূ হতে পারে না। এ হেন মানবকল্যাণের কুৎসিত ছবি দেখার জন্য দূরদূরান্তে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, আমাদের আশে-পাশে, চারদিকে তাকিয়ে দেখলেই তা দেখা যায়। বর্তমানে মানব-কল্যাণ অর্থে আমরা যা বুঝি তার প্রধানতম অন্তরায় রাষ্ট্র, জাতি, সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীগত চেতনা- যা মানুষকে মেলায় না, করে বিভক্ত। বিভক্তিকরণের মনোভাব নিয়ে কারো কল্যাণ করা যায় না। করা যায় একমাত্র সমতা আর সহযোগ-সহযোগিতার পথে।
সত্যিকার মানব-কল্যাণ মহৎ চিন্তা-ভাবনারই ফসল। বাংলাদেশের মহৎ প্রতিভারা সবাই মানবিক চিন্তা আর আদর্শের উত্তরাধিকার রেখে গেছেন। দুঃখের বিষয়, সে উত্তরাধিকারকে আমরা জীবনে প্রয়োগ করতে পারিনি। বিদ্যাপতি চীদাস থেকে লালন প্রমুখ কবি এবং অপেক্ষাকৃত আধুনিককালে রবীন্দ্রনাথ- নজরুল সবাইতো মানবিক চেতনার উদাত্ত কণ্ঠস্বর। বঙ্কিমচন্দ্রের অবিস্মরণীয় সাহিত্যিক উক্তি “তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?” এক গভীর মূল্যবোধেরই উৎসারণ।। এ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথের নিম্নলিখিত উক্তিটিও স্মরণীয়: “Relationship is the fundamental truth of the world of appearance.” কবি এ উক্তিটি করেছিলেন তার হিবার্ট বক্তৃতামালায়। অন্তর-জগতের বাইরে যে জগৎকে আমরা অহরহ দেখতে পাই তার মৌলিক সত্য পারস্পরিক সংযোগ-সহযোগিতা, কবি যাকে Relationship বলেছেন। সে সংযোগ বা সম্পর্কের অভাব ঘটলে মানব-কল্যাণ কথাটা স্রেফ ভিক্ষা দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্কে পরিণত হয়। মানব-কল্যাণ অলৌকিক কিছু নয়-এ এক জাগতিক মানবধর্ম।
তাই এর সাথে মানব-মর্যাদার তথা Human dignity-র সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। আজ পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে দেখলে কী দেখতে পাই? দেখতে পাই দুস্থ, অবহেলিত, বাস্তুহারা, স্বদেশ-বিতাড়িত মানুষের সংখ্যা দিন দিনই বেড়ে চলেছে। সে সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে। রিলিফ, রিহেবিলিটেশন ইত্যাদি শব্দের ব্যাপক প্রয়োগ। রেডক্রস ইত্যাদি সেবাধর্মী সংস্থার সংখ্যা বৃদ্ধিই কি প্রমাণ করে না মানব-কল্যাণ কথাটা স্রেফ মানব- অপমানে পরিণত হয়েছে? মানুষের স্বাভাবিক অধিকার আর মর্যাদার স্বীকৃতি আর প্রতিষ্ঠা ছাড়া মানব- কল্যাণ মানব-অপমানে পরিণত না হয়ে পারে না। কালের বিবর্তনে আমরা এখন আর tribe বা গোষ্ঠীবদ্ধ জীব নই- বৃহত্তর মানবতার অংশ। তাই Go of humanity-কে বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত কিংবা খতিভাবে দেখা বা নেওয়া যায় না। তেমনি নেওয়া যায় না তার কল্যাণকর্মকেও খণ্ডিত করে। দেখতে মানুষও অন্য একটা প্রাণী মাত্র, কিন্তু ভেতরে মানুষের মধ্যে রয়েছে এক অসীম ও অনন্ত সম্ভাবনার বীজ।
যে সম্ভাবনার স্ফুরণ-ফুটনের সুযোগ দেওয়া, ক্ষেত্র রচনা আর তাতে সাহায্য করাই শ্রেষ্ঠতম মানব-কল্যাণ। সেটা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য কিংবা কোনো রকম অপমান-অবমাননার পথে হতে পারে। হালে যে দর্শনকে অস্তিত্ববাদ নামে অভিহিত করা হয়, ইংরেজিতে যাকে বলা হয় Existentialism তারও মূল কথা ব্যক্তি মানুষের অস্তিত্বকে স্বীকৃতি দান। বল প্রয়োগ কিংবা সামরিক শাসন দিয়ে মানুষকে তাঁবেদার কিংবা চাটুকার বানাতে পারা যায় কিন্তু প্রতিষ্ঠা করা যায় না মানব- মর্যাদার আসনে। সব কর্মের সাথে শুধু যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকে তা নয়, তার সামাজিক পরিণতি তথা Social consequence-ও অবিচ্ছিন্ন। যেহেতু সব মানুষই সমাজের অঙ্গ, তাই সব রকম কল্যাণ-কর্মেরও রয়েছে সামাজিক পরিণতি। এ সত্যটা অনেক সময় ভুলে থাকা হয়। বিশেষত যখন দৃষ্টি থাকে উর্ধ্ব দিকে তথা পরলোকের পানে। স্রেফ সদিচ্ছার দ্বারা মানব-কল্যাণ সাধিত হয় না। সব ধর্ম আর ধর্মপ্রবর্তকেরা বারংবার নির্দেশ দিয়েছেন মানুষের ভালো করো, মানুষের কল্যাণ করো, সুখ-শান্তি দান করো মানুষকে।
এমনকি সর্বজীবে হিতের কথাও বলা হয়েছে। অতএব আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। সমস্যার মোকাবেলা করতে হবে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে। নতুন পদ্ধতিতে- যা হবে বৈজ্ঞানিক, র্যাশনাল ও সুবুদ্ধি- নিয়ন্ত্রিত। সমস্যা যত বড় আর যত ব্যাপকই হোক না তার মোকাবেলা করতে হবে সাহস আর বুদ্ধিমত্তার সাথে। এড়িয়ে গিয়ে কিংবা জোড়াতালি দিয়ে কোনো সমস্যারই সমাধান করা যায় না। আমাদের বিশ্বাস মুক্তবুদ্ধির সহায়তায় সুপরিকল্পিত পথেই কল্যাণময় পৃথিবী রচনা সম্ভব। একমাত্র মুক্ত বিচারবুদ্ধির সাহায্যেই বিজ্ঞানের অভাবনীয় আবিষ্কারকে ধ্বংসের পরিবর্তে সৃজনশীল মানবিক কর্মে করা যায় নিয়োগ। তা করা হলেই মানব-কল্যাণ হয়ে উঠবে মানব-মর্যাদার সহায়ক।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নঃ
১. “মানব-কল্যাণ প্রবন্ধটি লেখকের কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
ক. চৌচির
খ. রাঙা প্রভাত।
গ. মানবতন্ত্র
ঘ. মাটির পৃথিবী
২. ‘আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে- এখানে দৃষ্টিভঙ্গি’ বলতে বোঝানো হয়েছে-
ক. মানসিকতার
খ. সংস্কার
গ. দেখার কৌশল
ঘ. দেখার ইচ্ছা
কবিতাংশটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।
আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী পরে
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
৩. উদ্দীপকের ভাবার্থ “মানব-কল্যাণ” প্রবন্ধের যে ভাব নির্দেশ করে তা হলো-
ক. পারস্পরিক সৌহার্দের মধ্যে মানব-কল্যাণ নিহিত।
খ. মানব-কল্যাণের জন্য নিঃস্বার্থ হওয়া বাঞ্ছনীয়।
গ. অন্যকে বিপদমুক্ত করলেই মানব-কল্যাণ হয় না।
ঘ. অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমেই মানব-কল্যাণ সম্ভব।
৪. নির্দেশিত ভাবটি নিচের কোন বাক্যে বিদ্যমান?
ক. সত্যিকার মানব-কল্যাণ মহৎ চিন্তা-ভাবনার ফসল।
খ. মানব-কল্যাণ স্বয়ম্ভু, বিচ্ছিন্ন সম্পর্ক রহিত হতে পারে না।
গ. মানব-কল্যাণ অলৌকিক কিছু নয়-এ কাজ জাগতিক মানবধর্ম।
ঘ. তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?
সৃজনশীল প্রশ্নঃ
আমার একার সুখ, সুখ নহে ভাই,
সকলের সুখ, সখা, সুখ শুধু তাই।
আমার একার আলো সে যে অন্ধকার,
যদি না সবারে অংশ দিতে পাই।
যাইব কাহারে বল; ফেলিয়া পশ্চাতে।
এক সাথে বাচি আর এক সাথে মরি,
সকলের সাথে বন্ধু, সকলের সাথে,
এসো বন্ধু, এ জীবন সুমধুর করি।
ক. ‘ওপরের হাত সব সময় নিচের হাত থেকে শ্রেষ্ঠ- কথাটি কে বলেছেন?
খ. রাষ্ট্র জাতির যৌথ জীবন আর যৌথ চেতনারই প্রতীক-উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? গ. কবিতাংশটি “মানব-কল্যাণ” প্রবন্ধের কোন দিকটিকে প্রতিফলিত করেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. কবিতাংশটি “মানব-কল্যাণ” প্রবন্ধের আংশিক প্রতিচ্ছবি তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও।