তামিম আহমেদ
তামিম আহমেদ
23 Mar 2024 (1 month ago)
আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ

বাক্যের রুপান্তর | বাংলা ২য় পত্র ব্যাকরণ | একাদশ-দ্বাদশ | এইচএসসি (HSC)


Listen to this article

Contents

বাক্যের রুপান্তর

যৌগিক বাক্য থেকে সরল বাক্য

বাক্য পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, বাক্যের

  • (i) অর্থ পরিবর্তন করা যাবে না।
  • (ii) যৌগিক বাক্যের যে কোন একটি স্বাধীন খন্ডবাক্যকে (অর্থের গুরুত্ব বিবেচনা করে) অপরিবর্তনীয় রেখে সরল বাক্যের কাঠামোতে আনতে হবে। অর্থাৎ কর্তা বিধেয় (সমাপিকা ক্রিয়া)।
  • (iii) অবশিষ্ট স্বাধীন খন্ডবাক্যগুলোকে অসমাপিকা ক্রিয়ার সাহায্যে সরল বাক্যে পরিবর্তন করা হয়। তবে, এর ব্যতিক্রম থাকে।
  • (iv) সংযোজক অব্যয় বাদ দেয়া হয়।
  1. যৌগিক: সে আমাকে ডেকেছিল কিন্তু আমি যাইনি।
  2. সরল: সে আমাকে ডাকলেও আমি যাইনি।
  1. যৌগিক: লোকটি দরিদ্র এবং সৎ।
  2. সরল: লোকটি দরিদ্র হলেও সৎ।
  1. যৌগিক : বাতাসে অমরতার গন্ধ, তবু তার সেদিকে খেয়াল নেই।
  2. সরল: বাতাসে অমরতার গন্ধ থাকলেও তার সেদিকে খেয়াল নেই।

জটিল থেকে সরল

লক্ষণীয়,

  • (i) অর্থ পরিবর্তন করা যাবে না।
  • (ii) শুধুমাত্র অপ্রধান খন্ডবাক্যের অসমাপিকা ক্রিয়াকে সমাপিকা ক্রিয়ায় রূপান্তরিত করতে হবে।
  • (iii) সমাসবদ্ধ করে বা প্রত্যয় যোগ করে সরল বাক্যের কাঠামো তৈরি করতে হবে।
  • ( iv) জটিল বাক্যের শর্তযুক্ত পদ বা সাপেক্ষ সর্বনাম ও অন্যান্য অব্যয় পদ দিতে হবে।
  1. জটিল: যখন স্কুল ছুটি হয়, তখন বালকেরা মাঠে খেলা শুরু করে।
  2. সরল : স্কুল ছুটি হলে বালকেরা মাঠে খেলা শুরু করে। (হলে অসমাপিকা ক্রিয়া)
  1. জটিল: সে যে কথা বলে তা ঠিক নয়।
  2. সরল: তার কথা ঠিক নয়।

জটিল : ফের যদি আসি তবে সিঁধকাঠি সঙ্গে করিয়াই আসিব।

সরল থেকে জটিল

লক্ষণীয়,

  • (i) সরল থেকে জটিল ও যৌগিক বাক্যে পরিবর্তন করার সময় অর্থের আমূল পরিবর্তন করা যাবে না।
  • (ii) জটিল ও যৌগিক বাক্যের কাঠামো ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বাক্য তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ জটিল বাক্য থেকে শর্তযুক্ত সাপেক্ষ সর্বনাম ও যৌগিকের ক্ষেত্রে সংযোজক অব্যয় যোগ করতে হবে।
  1. সরল : সকালে সূর্য ওঠে।
  2. জটিল : যখন সকাল হয় তখন সূর্য ওঠে।
  1. সরল: রকিব খুব বুদ্ধিমান ছেলে।
  2. জটিল : যার নাম রকিব সে খুব বুদ্ধিমান।

সরল থেকে যৌগিক

  1. সরল : তিনি আর বেঁচে নেই।
  2. যৌগিক : তিনি আগে ছিলেন, এখন নেই (এখানে কমা (‘) যৌগিক অব্যয়ের কাজ করে)
  1. সরল : শিক্ষক এলেও ক্লাস হয়নি।
  2. যৌগিক : শিক্ষক এসেছেন, কিন্তু ক্লাস হয়নি। (জটিল বাক্যের মতো মনে হলেও এখানে শর্তযুক্ত বাক্য গঠিত হয়নি, সেজন্য বাক্যটি যৌগিক)

অনুজ্ঞাসূচক বাক্য

আজ্ঞা, আদেশ, উপদেশ, অনুরোধ, অনুমতি, আমন্ত্রণ, নিষেধ ইত্যাদি যে বাক্যে প্রকাশ পায় তাকে বলা হয় অনুজ্ঞাসূচক বাক্য। এর অন্য নাম আজ্ঞাসূচক বাক্য, আজ্ঞা বাচক বাক্য, অনুজ্ঞাসূচক বাক্য, অনুজ্ঞাবোধক বাক্য, আদেশসূচক বাক্য প্রভৃতি। যেমন: তোমার ঘোমটা খুলে দাও। তোমার নয়ন তুলে চাও।

প্রশ্নসূচক বাক্য

কোনো ঘটনা, ভাব বা বক্তব্য সম্পর্কে যে বাক্যে কোনো প্রশ্ন থাকে তাকে বলা হয় প্রশ্নবোধক বাক্য। এর অন্য নাম প্রশ্নমূলক বাক্য। প্রশ্নাত্মক বাক্য, জিজ্ঞাসাত্মক বাক্য প্রভৃতি। যেমন: তুই দাঁড় টানতে পারিস?

আবেগসূচক বাক্য

যে বাক্যে আবেগ, আনন্দ, উচ্ছ্বাস, রাগ, দুঃখ, ঘৃণা, ভয় ইত্যাদি প্রকাশ পায় সেই বাক্যকে আবেগসূচক বাক্য বলে । যেমন- হায় হায়! আমার কি সর্বনাশ হয়ে গেল! বাঃ, কি সুন্দর পাখি!

অস্তিবাচক বাক্যকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর

অস্তিবাচক বাক্যকে নেতিবাচক বাক্যে পরিবর্তনের সূত্র :

১. বাক্যে না নয়, নহে নি নেই, নাহি নাই ইত্যাদি ন-ঞর্থক অব্যয়যোগে অস্তিবাচক বাক্যের বিধেয় ক্রিয়াকে (সমাপিকা ক্রিয়া) নেতিবাচক করতে হবে। যেমনঃ

  1. বৃক্ষের দিকে তাকালে জীবনের তাৎপর্য উপলব্ধি সহজ হয়।
  2. বৃক্ষের দিকে তাকালে জীবনের তাৎপর্য উপলব্ধি কঠিন হয় না।

২. হ্যাঁ সূচক বাক্যকে না করতে হলে মূল অর্থ পরিবর্তন না করে বাক্য পরিবর্তন করতে হবে। যেমনঃ

  1. বৃক্ষের দিকে তাকালে জীবনের তাৎপর্য উপলব্ধি সহজ হয়।
  2. বৃক্ষের দিকে তাকালে জীবনের তাৎপর্য উপলব্ধি কঠিন হয় না।

অস্তিবাচক বাক্যকে নেতিবাচক বাক্যে পরিবর্তনের সূত্র :

৩. বাক্যের বিশেষণ পদটিকে বিপরীত শব্দে রূপান্তর করতে হবে। যেমনঃ

  1. এভাবে সমাজ অচল হয়ে পড়ে।
  2. এভাবে সমাজ চলে না।

৪. প্রয়োজন মত বাক্যের অন্য শব্দকে ‘না’ সূচক বাক্যের প্রয়োগের আওতাভুক্ত করতে হবে।যেমনঃ

  1. হৈমন্তী চুপ করিয়া রহিল।
  2. হৈমন্তী চুপ না থাকিয়া পারিল না।

৫. ‘না’ বাচক ক্রিয়া ও ‘না’ বাচক শব্দ বা ‘না’ বাচক অব্যয় মিলে বাক্যের অস্তিবাচক বা হ্যাঁ-সূচক ভাবটি বজায় রাখতে হয়। যেমনঃ

  1. জন্মভূমিকে সবাই ভালোবাসে।
  2. জন্মভূমিকে ভালোবাসে না এমন কেউ নেই।

নেতিবাচক বাক্যকে অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তর

নেতিবাচক বাক্যকে অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তরের সূত্র :

১. বাক্যে না, নয়, নহে, নি, নেই নাহি নাই ইত্যাদি ন-ঞর্থক অব্যয় তুলে দিতে হয়।যেমনঃ

  1. তারা যাবে না কোথাও।
  2. তারা এখানেই থাকবে।

২. শব্দের পরিবর্তন ঘটিয়ে বাক্যে হ্যাঁ সূচক ভাবটা ফুটিয়ে তুলতে হয়। যেমনঃ

  1. আমি অন্য ঘরে যাব না।
  2. আমি এ ঘরে থাকব।

৩. বাক্যের বিশেষণ পদটিকে বিপরীত শব্দে রূপান্তর করতে হয়।যেমনঃ

  1. পৃথিবী চিরস্থায়ী নয়।
  2. পৃথিবী ক্ষণস্থায়ী।

৪. প্রয়োজন মত নেতিবাচক শব্দের বাক্যাংশকে অস্তিবাচক শব্দ দ্বারা অস্তিবাচকে রূপান্তর করতে হয়। যেমনঃ

  1. দেশের প্রচলিত ধর্মে কর্মে তাহার আস্থা ছিল না।
  2. দেশের প্রচলিত ধর্মে কর্মে তাহার অনাস্থা ছিল।

নির্দেশক বাক্য

নির্দেশক বাক্য:- যে বাক্যে কোন বক্তব্য, তথ্য বা বিবৃতি প্রকাশ করা হয় তাকে নির্দেশক বাক্য বলে। যেমন- এবছর বেশি বৃষ্টি হয়নি। আমাদের একটি বড় বাগান আছে।

নির্দেশক বাক্য আবার দুই রকমের-

  • (I) ইতিবাচক বাক্য বা হ্যাঁ বাচক ও
  • (II) নেতিবাচক বা নঞর্থক বা না বাচক।

(i) ইতিবাচক বাক্য বা হ্যাঁ বাচকঃ যে বাক্যের অর্থকে স্বীকৃতি দেয়া হয় তাকে ইতিবাচক বাক্য বা হ্যাঁ বাচক বাক্য বলে।

যেমনঃ ছাত্রীরা রোজ বাংলা ক্লাস করে। আমি গান শুনতে ভালবাসি।

(ii) নেতিবাচক বা নঞর্থক বা না বাচক বাক্যঃ যে বাক্যের অর্থ না বাচক অর্থাৎ নেতিবাচক, তখন তাকে নঞর্থক বাক্য বলে।

যেমনঃ আমি ভাত খাবো না।

ইতিবাচক বাক্যকে প্রশ্নবাচক বাক্যে রূপান্তর

ইতিবাচক বাক্যকে প্রশ্নবাচক বাক্যে রূপান্তরের সূত্রঃ

১. মৌলিক বা মূল অর্থ অপরিবর্তিত রেখে বাক্য পরিবর্তন করতে হয়।

  1. অস্তিবাচকঃ ফুলকে সকলেই ভালোবাসে।
  2. প্রশ্নবাচকঃ ফুলকে কি সকলেই ভালোবাসে না?

২. কর্তার পরে প্রশ্নবাচক অব্যয় ব্যবহার করতে হয়।

  1. অস্তিবাচকঃ এরা অন্য জাতের মানুষ।
  2. প্রশ্নবাচকঃ এরা কি অন্য জাতের মানুষ নয়?

৩. ক্রিয়ার পরে ন-ঞর্থক অব্যয় ব্যবহার করতে হয়।

  1. অস্তিবাচকঃ শৈশবে তার বাবা মারা যান।
  2. প্রশ্নবাচকঃ শৈশবে কি তার বাবা মারা যান নি?

৪. বাক্য শেষে প্রশ্নবোধক জিজ্ঞাসা চিহ্ন (?) ব্যবহার করতে হয়। 

  1. অস্তিবাচকঃ বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ।
  2. প্রশ্নবাচকঃ বাংলাদেশ কি একটি উন্নয়নশীল দেশ নয়?

নেতিবাচক বাক্যকে প্রশ্নবোধক বাক্যে রূপান্তর

নেতিবাচক বাক্যকে প্রশ্নবাচক বাক্যে রূপান্তরের সূত্রঃ

১. নেতিবাচক বাক্যের না-সূচক শব্দ তুলে দিতে হয়।

  1. নেতিবাচকঃ এতে দোষ নেই।
  2. প্রশ্নবাচকঃ এতে দোষ কী?

২. মূল বা মৌলিক অর্থ অপরিবর্তিত থাকে।

  1. নেতিবাচকঃ টাকায় সব হয় না।
  2. প্রশ্নবাচকঃ টাকায় কি সব হয়?

৩. ন-ঞর্থক বাক্য হলে ‘নাকি’, ‘নয়-কি’ সহ জিজ্ঞাসার চিহ্ন (?) ব্যবহার করতে হয়।

  1. নেতিবাচকঃ সুদান উন্নয়নশীল দেশ নয়।
  2. প্রশ্নবাচকঃ সুদান উন্নয়নশীল দেশ নয় কি?

প্রশ্নবোধক বাক্যকে ইতিবাচক বাক্যে রূপান্তর

প্রশ্নবোধক বাক্যকে ইতিবাচক বাক্যে রূপান্তরের সুত্রঃ

১. মূল বা মৌলিক অর্থ অপরিবর্তিত রেখে বাক্য পরিবর্তন করতে হয়।

  1. প্রশ্নবোধকঃ মানুষ কি মরণশীল নয়?
  2. ইতিবাচকঃ মানুষ মরণশীল।

২. প্রশ্নবাচক ‘কি’ অব্যয় বিলুপ্ত হবে।

  1. প্রশ্নবোধকঃ ফুল কি সকলেই ভালোবাসে না?
  2. ইতিবাচকঃ ফুল সকলেই ভালোবাসে।

৩. নঞর্থক অব্যয় পদও বিলুপ্ত হবে।

  1. প্রশ্নবোধকঃ ভুল কি সকলেই করে না?
  2. ইতিবাচকঃ সকলেই ভুল করে।

৪. জিজ্ঞাসা (?) চিহ্ন স্থানে দাঁড়ি বসাতে হবে।

  1. প্রশ্নবোধকঃ মানুষ কি মরণশীল নয়?
  2. ইতিবাচকঃ মানুষ মরণশীল।

প্রশ্নবোধক বাক্যকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর

প্রশ্নবোধক বাক্যকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তরের সুত্রঃ

১. মূল অর্থ বা মৌলিক অর্থ অপরিবর্তিত রেখে বাক্য পরিবর্তন করতে হয়।

  1. প্রশ্নবাচকঃ তারা কি পাষাণ?
  2. নেতিবাচকঃ তারা পাষাণ কি না জানি না।

২. প্রশ্নবোধক অব্যয় ‘কি’ তুলে দিতে হয়।

  1. নেতিবাচকঃ তাহাদের গ্রামে ফিরিয়া আসা চলে না।
  2. নেতিবাচকঃ সরস্বতী বর দেবেন না।

৩. নেতিবাচক বা নঞর্থক না, নাই, নেই নি, জানি না, বুঝি না ইত্যাদি ব্যবহার করতে হয়।

  1. প্রশ্নবাচকঃ তাহাদের গ্রামে ফিরিয়া আসা চলে কি?
  2. নেতিবাচকঃ তাহাদের গ্রামে ফিরিয়া আসা চলে না।

৪. বাক্যটিকে নেতিবাচক ভাব ধারায় গঠন করতে হয়।

  1. প্রশ্নবাচকঃ সরস্বতী বর দেবেন কি?
  2. প্রশ্নবাচকঃ তাহাদের গ্রামে ফিরিয়া আসা চলে কি?

অনুজ্ঞাসূচক বাক্যকে নির্দেশক বাক্যে রূপান্তর

১। ক্রিয়ার সাথে ‘আ’ যুক্ত করতে হবে।

  1. অনুজ্ঞাসূচক: সবসময় সত্য কথা বলবে।
  2. নির্দেশক: সবসময় সত্য কথা বলা উচিৎ।

২। ‘উচিৎ’, ‘সঙ্গত’, ‘বিধেয়’, ‘অনুরোধ’- বাক্যের প্রয়োজন অনুযায়ী এই শব্দ গুলো বসাতে হবে।

  1. অনুজ্ঞাসূচক: সবসময় সত্য কথা বলবে।
  2. নির্দেশক: সবসময় সত্য কথা বলা উচিৎ।

৩। ‘নির্দেশ দিচ্ছি’, ‘আদেশ করছি’, ‘নিষেধ করছি’, ‘মিনতি করছি’- ইত্যাদি বিবৃতিমূলক পদ ব্যবহার করতে হবে।

তবে সেক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ক্রিয়া পদ কে অসমাপিকা ক্রিয়া হতে হবে।

  1. অনুজ্ঞাসূচক: তাড়াতাড়ি বাড়ি যাও
  2. নির্দেশক: তোমাকে তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে নির্দেশ করছি।

৪। কর্তা না থাকলে উত্তম পুরুষ অনুযায়ী পড়তে হবে।

  1. অনুজ্ঞাসূচক: তাড়াতাড়ি বাড়ি যাও
  2. নির্দেশক: তোমাকে তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে নির্দেশ করছি।

ইচ্ছাসূচক বাক্যকে নির্দেশক বাক্যে রূপান্তর

১। সমাপিকা ক্রিয়ার সাথে ‘তে’, ‘ইতে’ যোগ করে কৃদন্ত পদ তৈরি করতে হবে।

  1. ইচ্ছাসূচক : এমন কাজ করো না।
  2. নির্দেশক : এমন কাজ না করতে বলছি।

২। ‘ইচ্ছা করি’, ‘প্রার্থনা করি’, ‘কামনা করি’, ‘বলছি’, ‘প্রার্থনা করছি’- ইত্যাদি বিবৃতিমূলক পদগুচ্ছ যোগ করতে হবে।

  1. ইচ্ছাসূচক : সুখী হও
  2. নির্দেশক : তোমার সুখ কামনা করছি।

নির্দেশক বাক্যকে বিস্ময়সূচক বাক্যে রূপান্তর

১. অর্থ অপরিবর্তিত থাকবে।

  1. নির্দেশক বাক্য: দৃশ্যটি বড় চমৎকার।
  2. বিস্ময়সূচক বাক্য: আহা! কী চমৎকার দৃশ্য।

২. বাক্যের মধ্যে একটি বিস্ময়বোধক যোজক পদ যেমন: আহা, হায়, কী ইত্যাদি যুক্ত করতে হবে।

  • নির্দেশক বাক্য: যা দেখলাম তা ভুলবার নয়।
  • বিস্ময়সূচক বাক্য: আহা! দৃশ্যটি ভুলবার নয়।

৩. বিশেষণ পদের আগে একটি ‘কী’ বিশেষণীয় বিশেষণ বসবে।

  • নির্দেশক বাক্য: দৃশ্যটি বড় করুণ।
  • বিস্ময়সূচক বাক্য: দৃশ্যটি কী করুণ!

৪. বাক্যের শেষে একটি আশ্চর্যবোধক (!) চিহ্ন বসবে।

  • নির্দেশক বাক্য: এতো ভয়ানক দুঃখের কথা।
  • বিস্ময়সূচক বাক্য: কী ভয়ানক দুঃখের কথা!

বিস্ময়সূচক বাক্যকে নির্দেশক বাক্যে রূপান্তর

১। মৌলিক অর্থের কোনো পরিবর্তন হয় না।

  1. বিস্ময়সূচক: বাঃ! কি সুন্দর নাম।
  2. নির্দেশক: নামটি খুবই সুন্দর।

২। বিস্ময়সূচক বাক্যের কী, কেমন, কত, ভারী ইত্যাদি আবেগসূচক ক্রিয়াবিশেষণের পরিবর্তে বিশেষণ যোগ করতে হয়।

বিস্ময়সূচক: কী দারুণ কবিতাটি!

নির্দেশক: কবিতাটি অত্যন্ত দারুণ।

৩। বাক্যের শুরুতে উঃ, আঃ, আহা! ইত্যাদি আবেগবোধক অব্যয় পরিহার করতে হয়।

বিস্ময়সূচক বাক্য: আহা! দৃশ্যটি ভুলবার নয়।

নির্দেশক বাক্য: যা দেখলাম তা ভুলবার নয়।

৪. বাক্যের শেষে একটি আশ্চর্যবোধক (!) চিহ্ন বসবে না।

বিস্ময়সূচক বাক্য: কী ভয়ানক দুঃখের কথা!

নির্দেশক বাক্য: এতো ভয়ানক দুঃখের কথা

90 Views
No Comments
Forward Messenger
বাংলা ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ | বাংলা ২য় পত্র ব্যাকরণ | একাদশ-দ্বাদশ | এইচএসসি (HSC)
-
- -
বাক্য ও বাক্যের প্রকারভেদ | বাংলা ২য় পত্র ব্যাকরণ | একাদশ-দ্বাদশ | এইচএসসি (HSC)
-
- -
ক্রিয়ার ভাব | বাংলা ২য় পত্র ব্যাকরণ | একাদশ-দ্বাদশ | এইচএসসি (HSC)
-
- -
সমাস | বাংলা ২য় পত্র ব্যাকরণ | একাদশ-দ্বাদশ | এইচএসসি (HSC)
-
- -
প্রকৃতি ও প্রত্যয় | বাংলা ২য় পত্র ব্যাকরণ | একাদশ-দ্বাদশ | এইচএসসি (HSC)
-
- -
বাংলা শব্দ গঠন পদ্ধতি | বাংলা ২য় পত্র ব্যাকরণ | একাদশ-দ্বাদশ | এইচএসসি (HSC)
-
- -
ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি | বাংলা ২য় পত্র ব্যাকরণ | একাদশ-দ্বাদশ | এইচএসসি (HSC)
-
- -
পদ | বাংলা ২য় পত্র ব্যাকরণ | একাদশ-দ্বাদশ | এইচএসসি (HSC)
-
- -
বাংলা বানানের নিয়ম | বাংলা ২য় পত্র ব্যাকরণ | একাদশ-দ্বাদশ | এইচএসসি (HSC)
-
- -
উচ্চারণ রীতি | বাংলা ২য় পত্র ব্যাকরণ | একাদশ-দ্বাদশ | এইচএসসি (HSC)
-
- -
No comments to “বাক্যের রুপান্তর | বাংলা ২য় পত্র ব্যাকরণ | একাদশ-দ্বাদশ | এইচএসসি (HSC)”